Patanjali Electric Cycle Launch: পতঞ্জলি বিভিন্ন ধরনের যোগব্যায়ামের মাধ্যমে বহুকাল আগে থেকেই বহু মানুষকে বড় বড় রোগ থেকে মুক্তি দিয়ে আসছে। প্রাণায়ামের পাশাপাশি পতঞ্জলির বিভিন্ন প্রোডাকগুলিও মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সম্প্রতি একটি সংবাদ জনসমক্ষে এসেছে। এই সংবাদে বলা হচ্ছে যে পতঞ্জলি নাকি ভারতবর্ষে বৈদ্যুতিক সাইকেল চালু করতে চলেছে।
পতঞ্জলির এই সাইকেলে নাকি লিথিয়াম এবং ব্যাটারি সহ বেশ কিছু উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। উন্নত ধরনের প্রযুক্তি এবং লিথিয়াম ও আয়ন ব্যাটারি ব্যবহারের ফলে পতঞ্জলির সাইকেলটি একবার চার্জ দিলেই বহু দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবে। ইতিমধ্যে এই খবরটি মানুষের মধ্যে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। নীচে এই সাইকেলের বৈশিষ্ট্য গুলি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল
পতঞ্জলির বৈদ্যুতিক সাইকেলের বৈশিষ্ট্য
বিভিন্ন ইউটিউব এর খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে পতঞ্জলি শীঘ্রই ভারতবর্ষের বাজারে বৈদ্যুতিক সাইকেল আনতে চলেছে। এই বৈদ্যুতিক সাইকেলে ব্যবহার করা হবে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। এই ব্যাটারিটি দ্রুত চার্জ হতে সক্ষম। ৪৫ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যেই ব্যাটারিটি ফুল চার্জ হয়ে যাবে। আর ফুল চার্জ হয়ে গেলে সাইকেলটি ২০০ কিমি পথ অতিক্রম করতে পারবে।
এই সাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ৫০ থেকে ৫৫ কিমি প্রতি ঘন্টায়। এই সাইকেলের সামনে এবং পেছনে ডিস ব্রেক ব্যবহার করা হবে। ডিস ব্রেক ব্যবহারের ফলে এই সাইকেলটি এক্সিডেন্টের হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পাবে। আবার পতঞ্জলির বৈদ্যুতিক সাইকেলের হ্যান্ডেল বারে একটি ডিজিটাল স্কিন লাগানো থাকবে। এই ডিজিটাল স্ক্রিনে সাইকেল চালিত ব্যক্তিটি দেখতে পাবেন ব্যাটারির অবস্থা, সাইকেলের গতিবেগ, সময়, এমনকি ব্লুটুথের মাধ্যমে যেকোনো ডিভাইসও কানেক্ট করতে পারবেন।
স্মাট ফোন চার্জের ব্যবস্থাও থাকবে। সাইকেল চালানো ব্যক্তিটি চাইলে USB পোর্ট ব্যবহার করে গানও শুনতে পারবেন। গান শুনতে শুনতে যদি সাইকেলে বহুদূর পথ অতিক্রম করা যায় তাহলে বেশ মনোরম পরিবেশও অনুভূত হবে।
পতঞ্জলির বৈদ্যুতিক সাইকেল এর শক্তিশালী মোটর এবং কর্মদক্ষতা
পতঞ্জলির বৈদ্যুতিক সাইকেলে থাকবে ২৫০ ওয়াটের ব্রাশলেস মোটর। ২৫০ ওয়াটের ব্রাশলেস মোটরের সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৫ কিমি/ ঘন্টা। এই মোটরটিতে তিনটি রাইড মোট থাকছে ইকোসিটি এবং পাওয়ার। ইকো মোডটি দীর্ঘতম রেঞ্জ প্রদান করে থাকে। আর পাওয়ার মোডটি দ্রুত তরণ পেতে সাহায্য করে। এই সাইকেলটি প্যাডেল অ্যাসিস্ট এবং থ্রটল উভয় ভাবেই ব্যবহার করা যায়।
পতঞ্জলির বৈদ্যুতিক সাইকেলের স্মার্ট বৈশিষ্ট্য
পতঞ্জলির ইলেকট্রিক সাইকেলের হ্যান্ডেল বারে একটি ডিসপ্লে লাগানো থাকবে। এই ডিসপ্লে তে সাইকেল চালিত ব্যক্তিটি সাইকেলের গতিবেগ, সময় অনায়াসেই দেখতে পাবেন। এছাড়াও এই সাইকেলটিতে USB চার্জিং পোর্ট, একটি অ্যান্টি-থেফট লক এবং একটি স্মার্ট মোবাইল হোল্ডারও থাকছে। LED হেডলাইট এবং টেললাইটও রয়েছে রাত্রে পথ দেখার জন্য।
পতঞ্জলি সাইকেলের দাম
পতঞ্জলি বা রামদেবের তৈরি সাইকেলটি একটি প্রিমিয়াম ডিজাইনের সাথে বিভিন্ন রঙে ভারতের বাজারে আসতে চলেছে। জানা যাচ্ছে পতঞ্জলি সাইকেলের দাম বাজারে ১০,০০০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে হতে পারে। এখন প্রশ্ন উঠেছে অন্যান্য সংস্থাগুলি বৈদ্যুতিক সাইকেল এর দাম রেখেছে কুড়ি হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
সেখানে পতঞ্জলি কিভাবে এত সস্তায় বৈদ্যুতিক সাইকেল এর দাম রাখতে পারছেন।? এই প্রসঙ্গে সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী ডঃ প্রদীপ শর্মা জানিয়েছেন, তিনটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে পতঞ্জলির সাইকেলের দাম কম রাখা সম্ভব হয়েছে, যা ব্যয় কমিয়ে পারফরম্যান্সকে বাড়িয়েছে।
পতঞ্জলি ইলেকট্রিক বাইক পরিবেশ বান্ধব
দামের পাশাপাশি এই বৈদ্যুতিক সাইকেলটি সবুজ বিপ্লবের একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সাইকেলটি ব্যবহারের জন্য কোনো ডিজেল বা পেট্রোলের প্রয়োজন হবে না। তাই এই সাইকেল ব্যবহারের ফলে পরিবেশ দূষণের কোনো সম্ভাবনা নেই।
আবার অপরদিকে এই সাইকেলটি সমস্ত বয়সের মানুষের জন্যই উপযুক্ত। অর্থাৎ আপনি যদি স্কুলের ছাত্র হন কিংবা কলেজ ক্যাম্পাসে এই সাইকেলটি নির্বিঘ্নেই ব্যবহার করতে পারবেন। আবার কোন বয়স্ক ব্যক্তি তার প্রিয় শহরে ভ্রমণ করার জন্য এই সাইকেলটিকে ব্যবহার করে একটি মসৃণ এবং নিরাপদ যাত্রা উপভোগ করতে পারবেন।
উপরে পতঞ্জলির বৈদ্যুতিক সাইকেল সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল এবার সকলের মনে প্রশ্ন থেকেই যায় যে আমরা কবে এমন সাইকেলটি ব্যবহার করতে পারব? অনুমান করা হচ্ছে চলতি বছরের নববর্ষের সময় করে এটি বাজারে প্রথম লঞ্চ হতে পারে। তবে এই বিষয়ে রামদেবের তরফ থেকে এখনো কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। কেবলমাত্র বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং ইউটিউবারদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই আর্টিকেলটি লেখা হল।
Read More:—

