Readymade Business:- এই ইন্টারনেটের যুগে কম-বেশি সবাই নিজের ব্যবসা বা স্টার্টআপ শুরু করছে! তাহলে তুমি পিছিয়ে থাকবে কেন? এমন কিছু ব্যবসা আছে, যার চাহিদা সারাবছরই থাকে। যা থেকে প্রতিদিন ৩-৫ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব!
আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করছি- কি এই ব্যবসা? কিভাবে শুরু করবে? মুলধন কত লাগবে? গ্রাহক কোথায় পাবে? সমস্ত কিছু Step By Step! তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়ুন।
কিসের ব্যবসার কথা বলা হচ্ছে?
এখানে আমরা কথা বলছি- রেডিমেড পোশাকের ব্যবসা সম্পর্কে! রেডিমেড পোশাক কেন? কারন আজকালকার GENZ জেনারেশন দর্জির দোকানে গিয়ে জামা-কাপড় বানায় না। তাঁরা, শপিং মল, অনলাইনে শপিং করে।
কারন সেখানে ভ্যারাইটি থাকে প্রচুর এবং হাল ফ্যাশনের পোশাক পাওয়া যায়। মানে, যা বর্তমান বাজারে ট্রেন্ডিং। আর দর্জির বানানো পোশাক এখন আর ট্রেন্ডিং নয়। লাস্ট নব্বই দশকে এর ট্রেন্ড ছিলো।
Read More:- প্রতিমাসে আয় হবে ৫০ হাজার টাকা! ছাত্রছাত্রীদের জন্য সেরা ব্যবসার আইডিয়া।
তাই সময়ের অভাবেই হোক, আর ফ্যাশনের জন্যই হোক – রেডিমেড পোশাকের চাহিদা শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব ঋতুতেই তুঙ্গে। যেকোন অনুষ্ঠান-উৎসবে সবাই দিন দিন রেডিমেড পোশাকের দিকেই ঝুঁকছে।
ছোটো থেকে শুরু করো
‘একলাফে গাছে ওঠা যায়না’ – যেকোন ব্যবসার ক্ষেত্রে এই প্রবাদ বাক্যটা যেন ধ্রুব সত্য! আমরা এই ব্যবসাতে একবারে বিশাল ইনভেস্ট করবনা। কারন- মানুষের ফ্যাশন, পছন্দ আর ট্রেন্ড দিন দিন পরিবর্তন হয়।
তাই, প্রথমে কম করে কিছু ট্রেন্ডিং পোশাক বাছাই করব। মাত্র ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার পোশাক তুলব। সেই থেকে ব্যবসা শুরু। এরপরে, গ্রাহকের টেস্ট ও চাহিদা বুঝে ব্যবসা বাড়ানোর কথা ভাবা যাবে।
পোশাকের প্রকারভেদ
প্রথমে তোমাকে নিশ কাস্টমার টার্গেট করতে হবে। যেমন- যদি বাচ্চাদের পোশাক রাখো, তাহলে শুধু তাদেরইর রাখবে। অথবা, বয়স্কদের, মহিলাদের, পুরুষদের, যুবকদের, যুবতীদের। মানে প্রথমে, যেকোন এক ধরনের কাস্টমার টার্গেট করে ব্যবসা শুরু করা উচিত।
এতে, আলাদা করে তোমার দোকান বা ব্যবসার ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরী হবে। এরপরে, ব্যবসা পরিচিতি বাড়লে তখন ধীরে ধীরে অন্যান্য ক্যাটাগরির পোশাক বিক্রি শুরু করো।
ব্যবসা শুরু কোথায় করবে?
অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই এই ব্যবসাটি করা যায়। অনলাইনে পোশাকের ব্যবসা করতে চাইলে- প্রথমে পোশাকের ছবি তুলে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করো। এরপর, অর্ডার আসলে তা নিজে ডেলিভার করতে পারো। এক্ষেত্রে, তোমাকে পোশাকের মাপজোখ, রিটার্ন সুবিধা রাখতে হবে। এতে করে কোন দোকান ভাড়া করার প্রয়োজন পড়বেনা।
অফলাইনে এই ব্যবসা করতে চাইলে, প্রথমেই বাজার এলাকা যেখানে ফুটফল বেশি সেখানে একটি দোকান ঘর ভাড়া নিতে হবে। এরপরে, পোশাক পাইকারি রেটে কিনে এনে, দোকান সাজাতে হবে। কাস্টমারের জন্য ট্রায়াল রুম রাখতে হবে, যাতে লাইভ পোশাক পরে নিজেকে দেখতে পারে।
অফলাইন ব্যবসায় দোকানের লোকেশন বাছাই করাটাই সবচেয়ে বড় চালাকি। এর উপরে, ব্যবসা চলবে কিনা? কত সেল হবে? কেমন গ্রাহক আসবে? এই সমস্ত কিছু নির্ভর করবে। অফলাইনে ব্যবসা শুরু করলেও, পাশাপাশি অনলাইনেও তোমার ব্যবসার প্রচার করা উচিত।
আর এখন দুর্গাপুজোর সময়। বাঙালীর সবথেকে বড় উৎসব। এইসময় ব্যবসা শুরু করাটা সবচাইতে ভালো। কারন ধনী-গরিব, মধ্যবিত্ত সব্বাই কমবেশি নতুন পোশাক কিনবে এখন। প্রথমে, অন্যের দোকানে ২ থেকে ৬ মাস কাজ করে, কাজ শিখে নিলেও এই ব্যবসা সম্পর্কে ধারনা পাবে।

