মাত্র ৮৩৪/- টাকায় আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত! সরকারি এই স্কীম সম্পর্কে জানুন — NPS Scheme

NPS Scheme — ভারতীয় নাগরিকদের আর্থিক দিক থেকে সহায়তা করার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন স্কিম (Scheme) আছে। এই স্কিম গুলির মধ্যে কৃষক, ছাত্র-ছাত্রী, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন। তবে তার জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত তাদের পূরণ করতে হয়।

এইরকমই একটি কেন্দ্রীয় সরকারি স্কিম হল— শিশুদের বিকাশের এবং তাদের ভালোভাবে মানুষ করার ক্ষেত্রে আর্থিক দিক থেকে সহায়তা প্রদানের জন্য— ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম স্কিম (National Pension System Scheme – NPS) অন্যতম। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম স্কিম কি?

শিশুদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদানের জন্য কেন্দ্র সরকারের একটি সহযোগিতা হিসাবে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম বাৎসল্য স্কিমটি ভারতে প্রচলিত আছে। একটি শিশু জন্ম থেকে তার বৃদ্ধি পর্যন্ত বিভিন্ন খাতে অনেক খরচ করতে হয়। ‌ যেমন—

তার শিক্ষা স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে বিবাহ পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রে অনেক টাকা লাগে। এমনকি তার অবসরের পরেও তার জীবনকে সুরক্ষিত করার জন্য বিষয়টি এই স্কিমের মধ্যে রাখা হয়েছে।

শিশুর জন্মের পর থেকে পিতা-মাতাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রত্যেক মাসে জমাতে হবে, এর একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করতে হবে। যে পরিমাণ টাকা প্রত্যেক মাসে জমা করবেন সেই একই পরিমাণ টাকা এই স্কিমের শেষ সময়সীমা পর্যন্ত আপনাকে বজায় করতে হবে। টাকাটি যখন ম্যাচিউর হবে তার সঙ্গে সরকার একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকায় সঙ্গে যুক্ত করে আপনার হাতে তুলে দেবে!

এই স্কিমের নিয়ম—

কেন্দ্র সরকারের NPS Scheme টিমের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য—

  • আপনার শিশুর বয়স ১৮ বছরের কম হতে হবে।
  • সন্তানের অভিভাবক হিসাবে পিতা বা মাতার নামে একাউন্ট খুলে তাতে বিনিয়োগ করতে হবে! কারণ ছোট বয়সে আপনার সন্তান মাইনর (Minor) হিসেবে স্বীকৃত! আর নিয়ম অনুযায়ী মাইনরদের নামে সরাসরি কোথাও বিনিয়োগ করা যায় না।
  • আপনার সন্তান ১৮ বছর বয়স পার করার পর এটি অটোমেটিক্যালি এনপিএস একাউন্ট এ রূপান্তরিত হবে।

এই স্কিমের সুবিধা—

— এনপিএস এমনই একটি স্কিম যেখানে সন্তানের জন্মের পর থেকে বিনিয়োগ শুরু করলে, তার বড় হওয়া পর্যন্ত একটি ভালো পরিমাণ টাকা আপনি তার উচ্চ শিক্ষা ও বিবাহের সময় আপনি হাতে পাবেন। ফলে সন্তানের প্রয়োজনে টাকা বিনিয়োগের জন্য আপনাকে চিন্তাই করতে হবে না।

— এর অপর বৈশিষ্ট্য হলো এটি ট্যাক্স বেনিফিট দেবে আপনাকে। ‌ অল্প অল্প করে বিনিয়োগ করে প্রত্যেক মাসে জমিয়ে আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর একটি বড় পরিমান টাকা হাতে পাবেন যা আপনাকে আপনার সন্তানের উন্নতির জন্য চিন্তায় পড়তে হবে না।

— এটি যেহেতু একটি সরকারি প্রকল্প তাই এই টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাজারদর ওঠানামার পরিপ্রেক্ষিতে ঝুঁকির সম্মুখীন আপনাকে হতে হবে না, অর্থাৎ আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন একটি বড় পরিমাণ টাকা আপনি ফেরত পাবেন সেই অনুযায়ী আপনার সন্তানের জন্য আপনি পরিকল্পনা করতে পারেন।

বিনিয়োগের পদ্ধতি ও সময় সীমা

সন্তান জন্মানোর পর থেকে ১৮ বছর নিচে তার বয়স হলে আপনি ভারতের নাগরিক হিসাবে এই স্কিমের আওতায় পড়বেন। প্রথমে আপনাকে এই টিমের জন্য অনুমোদিত ব্যাংকে গিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে।

টাকা কোন খাতে বন্টন হবে তার ওপরে ভিত্তি করে এবং সন্তানের বয়স ১৮ বছর হলেই আপনি টাকাটি তুলে নেবেন নাকি তার বয়স ৬০ বছর পর্যন্ত রাখবেন তার ওপরে ভিত্তি করে প্রত্যেক মাসের টাকার পরিমান ধার্য হবে এবং সেইভাবে প্রত্যেক মাসে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিয়ে যেতে হবে।

উদাহরণস্বরূপ যদি বলা যায়— যে বছরে ১০ হাজার টাকা আপনি বিনিয়োগ করবেন, সেক্ষেত্রে সন্তানের জন্মের পর থেকেই প্রত্যেক মাসে মাত্র ৮৩৪ টাকা বিনিয়োগ থেকে শুরু করলেই ১ কোটি টাকার বেশি আপনি ফেরত পেতে পারেন। বিস্তারিত জানতে সরকারি স্কিমটির ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

সবশেষে বলা যায়— পিতা-মাতা যদি সচেতন হোন এবং শিশুর জন্মের পর থেকেই যদি সন্তানের ভালো ভবিষ্যৎ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তাহলে তার জন্য প্রথম থেকেই সঞ্চয়ের সবচেয়ে ভালো পথটি গ্রহণ করবেন। যাতে কোনভাবেই তার উন্নতির পথে অর্থ বাধা না হয়।

ভারতীয় দম্পতির এই চিন্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যে সমস্ত স্টিম প্রচলিত আছে তার মধ্যে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্কিম। আপনি যদি একজন ভালো পিতা মাতা হন তাহলে আপনার সন্তানের নিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য এই স্কিমটি গ্রহণ করতে পারেন।

Read More—

Verified Job

Verified Job — পশ্চিমবঙ্গসহ সমগ্র দেশের চাকরি ও ব্যবসা সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য এবং ভেরিফাইড তথ্য প্রদানকারী একটি শীর্ষস্থানীয় জব নিউজ পোর্টাল। এখানে শুধুমাত্র সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য খবর প্রকাশিত হয়, কোনো ভ্রান্ত বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য নয়। গত ৬ বছর ধরে আমরা ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাঠকদের নির্ভরযোগ্য সংবাদ দিয়ে আসছি।