পড়াশোনার ফাঁকে ঘরে বসেই, মোটা টাকা রোজগার করুন! বিস্তারিত জেনে নাও—Home Based Online Jobs

Home Based Online Jobs:— স্কুল জীবনে দেদার আনন্দ, ফুর্তি, হই হট্টগোল, খেলাধুলো আর পড়াশোনার মধ্যে দিয়েই জীবন চলতে থাকে। না থাকে কোনো চিন্তা, না থাকে কোনো জরুরী ভাবনা। কিন্তু যেই ধীরে ধীরে স্কুলের গন্ডি শেষ করার সময় আসে, তখনই শুরু হয়ে যায় অন্য চিন্তা! না, সেই চিন্তা শুধুমাত্র সিনেমা দেখা বা ঘোরাফেরার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনা।

চিন্তা বাড়তে থাকে, সাবালকত্বের দোরগোড়ায় পৌঁছে কিভাবে দুটো টাকা আয় করা যায়? কারণ এই মুহূর্তে ধীরে ধীরে যখন কোনো ছাত্র-ছাত্রী আগামী দিনে পছন্দের পেশার জন্য চেষ্টা চালাতে যায়, তখন আগে থেকেই যদি কোনো একটি পছন্দসই কাজের মধ্যে প্রবেশ করে, তার মাধ্যমে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে নিতে পারে, তাহলে আগামী দিনে পেশাগত ক্ষেত্রে তার একটি সুবিধা সে পেতে পারে। শুধু তাই নয়, পার্টটাইম কাজের (Part-time Income) মধ্য দিয়ে তার হাত খরচের পয়সাটিও উঠে আসতে পারে।

ফলে আর বাড়িতে বাবা মায়ের কাছে সব সময় টাকা চাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary education) শেষ করার পরেই এই ভাবনাটি সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেই চলতে থাকে। ফলে যদি এই সময় এমন কিছু কাজ করা যায়, যাতে উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করার পরে কলেজ জীবনে পড়াশোনা বা অন্যান্য কোনো ক্ষেত্রে শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে পকেট মানিও (Pocket Money) জোগাড় হয়ে যায় তাহলে যথেষ্ট সুবিধা হয়।

আজকে এরকমই কতকগুলি কাজের ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করা হবে। যেখানে নিজে থেকে সময় বের করে কাজ করতে পারলে ঘরে বসেই একটা ভালো পরিমাণ টাকা মাসের শেষে উপার্জন করা সম্ভব হবে। ফলে বন্ধুবান্ধবের আড্ডার মধ্যেও নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার যে চেষ্টা, সেটাও প্রকাশ পাবে।

আসুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিকের পর ঘরে বসে শুধুমাত্র অনলাইন অর্থাৎ হাতের স্মার্টফোন (Smartphone) বা ট্যাব(Tab) বা ল্যাপটপ(Laptop) এর মাধ্যমে কাজ করে ফেলা যায় এবং ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করা যায়। পর্যায়ক্রমে পরপর সেই কাজের ক্ষেত্রগুলি তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে (Online and Home Based Jobs):

১. কনটেন্ট রাইটিং জব (Content writing job)

যেহেতু ডিজিটাল মিডিয়া দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে, প্রযুক্তি নিয়মিত আপডেট হচ্ছে, ফলে সেই ক্ষেত্রে যাদের মধ্যে লেখালেখির ইচ্ছা বা সেই দক্ষতা রয়েছে, তারা কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। লেখার প্রতি ভালোবাসা থাকলে এই কাজ করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। পড়াশোনা চালানোর ফাঁকে যেকোনো সময় নিজের এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে টাকা উপার্জন করা সম্ভব।

কারণ বর্তমানে ডিজিটাল মিডিয়ায় বহু নিউজ পোর্টাল থেকে শুরু করে ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া পেজের গুরুত্ব বহুগুনে বেড়ে চলেছে। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনার ফাঁকে পার্ট টাইম এই কাজ করতে পারেন। এই কাজ করার মাধ্যমে মাসে অন্ততপক্ষে ৪ হাজার থেকে ৭ হাজার বা ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা সম্ভব। একদিকে যেমন লেখালেখির মাধ্যমে নিজের দক্ষতাও আরো বেশি করে আপডেট হবে, ঠিক পাশাপাশি বাড়ি বসে অনলাইনে উপার্জনও চলতে থাকবে।

২. ডেটা এন্ট্রি অপারেটর (Data Entry Operator)

এই মুহূর্তে সরকারি, বেসরকারি ক্ষেত্রে বহু সংখ্যায় ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের প্রয়োজন হয়। সরকারি ক্ষেত্রে যেমন চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করা হয়, তেমনি বেসরকারি ক্ষেত্রেও একইভাবে কাজ পাওয়া যেতে পারে। ফলে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পরে বিভিন্ন জায়গায় ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করা যেতে পারে। তবে হ্যাঁ, সে ক্ষেত্রে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কীবোর্ডে যথেষ্ট দ্রুততার সঙ্গে হাত চালানোর দক্ষতার দরকার হয়।

পাশাপাশি ডেটা বুঝে নিয়ে সেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি বের করে আনতে পারলে কম্পিউটারের ডেটা শিটে ঠিক করে সাজাতে জানলে খুব সহজেই এই কাজ মেলা সম্ভব। পাশাপাশি যথেষ্ট ভালো বেতন পাওয়া যেতে পারে। অন্ততপক্ষে মাসে ৭০০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আয় করতে পারেন।

৩. অনলাইন টিউশন (Online Tuition)

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পরে আরো অন্যান্য শিক্ষামূলক ক্ষেত্রে ডিগ্রী বাড়ানোর জন্য যখন আপনি পড়াশোনা করছেন, পাশাপাশি আপনার মধ্যে যে শিক্ষা রয়েছে, তা অনলাইনের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পৌঁছে দিতে পারেন। আর এই পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি উপার্জন শুরু করতে পারেন। এই মুহূর্তে বহু ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইনে টিউশন নিয়ে থাকেন। ফলে একদিকে যেমন পড়াশোনার মধ্যে আপনার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হবে, ঠিক পাশাপাশি আপনি মোটা টাকা রোজগার করতে পারবেন।

যদি অনলাইনে কোচিং দেওয়া শুরু করতে চান, তাহলে যে কোনো ভার্চুয়াল টিউটোরিয়াল প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে পারেন। সেখানে সাইন আপ করে অন্তত ঘন্টা প্রতি হিসেবে আপনি আপনার রোজগার করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় নিয়মিত কাজ করলে মাসে অন্তত ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

৪. রিসেপশনিস্ট (Receptionist)

এক্ষেত্রে অবশ্য বাড়িতে বসে কাজ করা যাবে না। এই কাজটি যেকোনো সংস্থার Front Desk-এ বসেই করতে হবে। সেক্ষেত্রে রিসেপশনিস্ট হিসেবে সেই কোম্পানির অতিথিদের তালিকা তৈরি করা, অন্যান্য কাজের হিসেবে রাখার সঙ্গে অতিথিদের বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থাপনা এবং দায়িত্ব সামলানোর কাজ করা হয়!

ফলে হাসপাতাল, হোটেল, বিভিন্ন ধরনের সংস্থায় কাজ করতে পারেন। যেকোনো রিসেপশনিস্ট বেতন হিসেবে অন্ততপক্ষে ৭ থেকে ৮০০০ দিয়ে শুরু হয়। এবার কোম্পানি হিসেবে সেই বেতনের স্ট্রাকচার নির্ভর করে। এই কাজটিও খুব সুবিধাজনক।

৫. স্কিল ডেভেলপমেন্ট (Skil Development Job)

এই মুহূর্তে যেহেতু প্রযুক্তি একেবারে জেটগতিতে ছুটছে, ফলে এটুকু বোঝা সহজ, যে আগামী দিনে অনলাইন বা ডিজিটাল মিডিয়ার বাইরে কোনো কিছুই আর থাকবে বলে মনে হয় না। ফলে এক্ষুনি যেকোনো ধরনের স্কিল যদি আপনার থাকে, তা আপনি ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে ইনকাম শুরু করতে পারেন।

যে সমস্ত দক্ষতার যথেষ্ট পরিমাণে চাহিদা রয়েছে, তার মধ্যে রইল ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক ডিজাইনিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, ডিজিটাল মার্কেটিং, প্রেজেন্টেশন তৈরি, অ্যানিমেশন সহ আরো বহু এই ধরনের সৃজনশীল কাজ রয়েছে, যা কিছুদিনের জন্য সময় নিয়ে নিজেকে একটু তৈরি করে নিলে ভালো পরিমাণে রোজগার করতে পারবেন।

সর্বোপরি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পরে স্বাভাবিকভাবেই জীবন সংগ্রামের একটা অন্য যুগ শুরু হয়ে যায়। অর্থাৎ বাস্তব জীবনে কিভাবে আগামী দিনে উপার্জন করে নিজে চলতে পারবেন, সেই লড়াই এই সময় থেকেই শুরু হয়।

তাই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরাই উচ্চমাধ্যমিকের পরপরই যদি বিভিন্ন ধরনের অনলাইন বেসিস প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করতে পারেন, তাহলে আগামী দিনে সেই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন। এখানে কয়েকটি তালিকা তুলে ধরা হলো। চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আশা করি সফল হবেন। শুভকামনা রইল।

Read More:—

Leave a Comment

Verified Job

Verified Job — পশ্চিমবঙ্গসহ সমগ্র দেশের চাকরি ও ব্যবসা সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য এবং ভেরিফাইড তথ্য প্রদানকারী একটি শীর্ষস্থানীয় জব নিউজ পোর্টাল। এখানে শুধুমাত্র সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য খবর প্রকাশিত হয়, কোনো ভ্রান্ত বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য নয়। গত ৬ বছর ধরে আমরা ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাঠকদের নির্ভরযোগ্য সংবাদ দিয়ে আসছি।