Unique Business: নিজের এলাকায় করার সেরা ৫টি ব্যবসার খোঁজ! মাসের শেষে ৪০ হাজার ইনকাম হবে।

Unique Business:— একটা চাকরি খোঁজার আশায় সকাল থেকে সারাদিন হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, চাকরি খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। শিক্ষা রয়েছে, ডিগ্রি রয়েছে। তার পরেও দেশ জুড়ে কর্মসংস্থানের অভাব (Unemployment) এতটাই প্রকট যে সরকারি বা বেসরকারি যে ক্ষেত্রেই বলা হোক না কেন, চাকরির আশা প্রায় ছেড়ে দিলেই যেন ভালো হয়।

এরকম একটা পরিস্থিতিতে তাহলে কি শুধু বেকার বসে থাকবেন? কিভাবে উপার্জন করবেন? কি করে সংসার প্রতিপালন করবেন? এই ধরনের চিন্তা ভাবনা যখন মাথায় ঘুরছে, কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না, ঠিক সেই সময় আপনার সেই মুশকিল আসান করার জন্য রইল এই প্রতিবেদন। আপনি গ্রামেই থাকুন, মফস্বলে থাকুন বা শহরে থাকুন, সব জায়গাতেই এই ধরনের কাজ করে স্বনির্ভর হতে পারেন।

না, এটি কোনো কারুর অধীনে বা কোনো সংস্থায় গিয়ে কাজ চাইতে হবে না বা কাজ করতে হবে না, একদম সম্পূর্ণভাবে নিজে স্বাধীনভাবে ব্যবসা (Business) শুরু করতে পারেন। ব্যবসা- সে ছোটই হোক বা বড়, নিজে স্বাধীনভাবে আয় করার মধ্যে সীমাহীন আনন্দ রয়েছে। ফলে আপনি যদি প্রত্যন্ত গ্রামেও বসবাস করেন, তাহলেও সেখানে আপনি এই ব্যবসা করতে পারেন। বিনিময়ে প্রতিমাসে ভালো টাকা রোজগার (Huge Income Business) করতে পারবেন।

তাই অন্যের আর মুখাপেক্ষী হয়ে চাকরি খোঁজার আশায় সকাল থেকে সারাদিন ঘুরে বেড়াতে হবে না। যারা প্রত‍্যন্ত গ্রামাঞ্চলে থাকেন, তারা অনেক সময় ভাবেন শহরে বা কলকাতায় গেলে বোধ হয় কাজ জুটবে। এই ভাবনার এখন আর কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি আপনার গ্রামীণ এলাকাতেই এই ধরনের ব্যবসা করে স্বনির্ভর হতে পারেন।

আর আজ গ্লোবালাইজেশন এর যুগে গ্রাম আর সেই আগের প্রত্যন্ত গন্ডগ্রাম নেই। সেখানেও ধীরে ধীরে ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে, ফলে আর অন্য কোনো দিকে না তাকিয়ে শুরু করে দিন এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা ব্যবসাগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি। আর স্বনির্ভর হয়ে উঠুন।

এবার হয়তো ভাবছেন, কি ব্যবসা করা যেতে পারে? কতই বা মূলধন লাগবে? না, বিরাট কোনো মূলধন বা পুঁজি প্রয়োজন হবে না। সামান্য কিছু টাকা নিয়েই আপনার গ্রামীণ এলাকায় বাড়ির কাছেই শুরু করে দিতে পারবেন এই ব্যবসা, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, সেই ব্যবসার তালিকাগুলো। এখান থেকেই একটি ব্যবসা বেছে নিয়ে আপনি স্বাবলম্বী হয়ে উঠুন।

মোমোর দোকান বা স্টল

এই মুহূর্তে শহর থেকে গ্রাম যেখানেই যান না কেন, মানুষের রুচি কিন্তু বদলাচ্ছে। মুখরোচক খাবারের আশায় একটু দূরে গিয়েও তারা কিন্তু পয়সা খরচ করতে কার্পণ্য করছেন না। কারণ আজকের সমাজে যেকোনো ধরনের স্ন‍্যাক্স, রোল, চাওমিন, মুখরোচক খাবারের বিরাট একটা চাহিদা তৈরি হয়েছে। সেই জায়গায় ভাগ বসিয়ে বিরাট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। খাবারটির নাম হল— মোমো। এখন আর এটা শহরে নেই, একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আপনি কোনো না কোনো স্টল পাবেন।

কিভাবে শুরু করবেন, ভাবছেন? প্রথমেই বিরাট কিছু ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন নেই। একটি ছোট্ট স্টল তৈরি করে সেখানেই ভেজ এবং ননভেজ মোমো রাখার ব্যবস্থা করুন। প্রতি প্লেট ৩০ থেকে ৫০ টাকা দামে বিক্রি করতে পারবেন। তাহলে প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ১২০০ থেকে ১৬০০ টাকা রোজগার হবে। একেবারে খুব কম হলেও আপনি এক হাজার টাকা মিনিমাম ইনকাম প্রতিদিন করতে পারবেন। ফলে মোমো ব্যবসার চাহিদা কিন্তু এখন তুঙ্গে।

চাওমিন, রোল স্টল

ভাবছেন তো শহরাঞ্চলে গিয়ে বা কোনো শপিংমলের পাশে দাঁড়িয়ে চাওমিন বা রোল খেতে হবে? না, সেই দিন এখন অতীত। এখন আপনার গ্রামেই প্রচুর পরিমাণে খরিদ্দার পেয়ে যাবেন, যারা আপনি যদি এক্ষুনি চাট, চাওমিন ফুচকা রোলের কোনো একটি দোকান বা স্টল তৈরি করেন, হয়তো নিয়মিত খরিদ্দার হয়ে যাবে। যারা আপনার ওই দোকানে প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলায় দাঁড়িয়ে খাবার খেতে আসবে। আর এইসব ব্যবসা মূলত সন্ধ্যার দিকেই বেশি ভিড় হয়।

আর যেহেতু ফাস্টফুড এর চাহিদা সর্বত্র, তাই এতে লাভের পরিমাণও কিন্তু যথেষ্টই ভালো। যদি একটু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিয়ে ভালো মানের স্বাদ বজায় রাখতে পারেন, তাহলে আপনার একদম বাধাধরা কাস্টমার তৈরি হয়ে যাবে। ফলে মাসের শেষে অন্ততপক্ষে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা গ্রামে বসে আয় করা অসম্ভব কিছু নয়!

সকাল বেলার টিফিন

ভাবছেন তো, এ আবার কি রকম ধরনের ব্যবসা? হ্যাঁ, সকালে বা সন্ধ্যাবেলায় আপনি আপনার এলাকাতেই চা কচুরি সিঙ্গারা তেলেভাজা পোহা ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করার জন্য দোকান খুলতে পারেন। বিশেষ করে যে সময়ে আপনার এলাকাতে ভিড় বেশি হয়, গ্রাহকেরা বেশি পরিমাণে আসা-যাওয়া করে, সেই সময় এই ধরনের দোকানে আপনার খাবারের চাহিদা থাকবেই। সকাল বেলার টিফিন অর্থাৎ নাস্তা করার জন্য মানুষ একটা ভালো দোকান খোজে। সেখানে যদি আপনি কচুরি সিঙ্গারা সহযোগে বিলি করতে পারেন, তাহলে ভালো আয় করতে পারবেন।

যদি নিজে রান্না জানেন তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই। আর তা না হলে কোনো একজন কাজ জানা ব্যক্তিকে রেখে এই দোকান চালু করে দিন। বেশি সময়ও দিতে হবে না। ভোরবেলা পাঁচটার সময় খুলুন আর বেলা ১১ টার মধ্যে বন্ধ করে দিন। সন্ধ্যায় আসুন বিকেল চারটের সময়,রাত্রি ন’টার মধ্যে দোকান বন্ধ। এতেই আপনি দেখবেন মাসের শেষে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

ঠান্ডা পানীয় ফ্রুট জুসের ব্যবসা

গরমকালে তো কোনো কথাই নেই, যেভাবে আপনি ঠান্ডা পানীয় ধরিয়ে দেবেন মানুষ একটু গলা ভেজানোর জন্য শরীর ঠান্ডা করার জন্য চুমুক দেবেই। এছাড়াও শুধু যে গরমকাল তা নয়, শীতকালেও আপনি যে কোনো ফলের রস বিক্রি করতে পারেন। বিশেষ করে শীতকালে লেবুর শরবত, কমলার রস বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। কিছুই লাগবেনা। একটা ছোট্ট দোকান খুলতে পারেন অথবা কোনো ঠেলাগাড়ি জোগাড় করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

যেকোনো ধরনের ফলের রস, ঠান্ডা পানীয়, কুলফি আইসক্রিম এই সমস্ত খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করে প্রতিমাসে আনুমানিক কমপক্ষে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। ১০০ গ্লাস শরবত বিক্রি করলেই তো আপনার প্রতি গ্লাসে অন্ততপক্ষে ১৫ থেকে ২০ টাকা লাভ হতে পারে। এবার নিজেই অংকটি করে দেখুন।

চায়ের দোকান

গ্রামাঞ্চলে বা শহরাঞ্চল যেখানেই বলুন না কেন, একটু মন খুলে আড্ডা মারতে গেলে একটা চায়ের দোকান লাগবে। আর এই সংস্কৃতি বাংলায় কিন্তু ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। চায়ের দোকানে বসে দু কাপ চায়ে চুমুক আর তার সঙ্গে গল্প গুজব, এটা একেবারে আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। হাটবাজার থেকে পাড়ার মোড়, বাস স্ট্যান্ড থেকে স্কুল বা যেকোনো অফিসের এলাকা সব জায়গাতেই চায়ের দোকান খুললে রোজগার একেবারে নিশ্চিত।

একটা হিসাব শুধু বলে রাখি, প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ কাপ চা যদি বিক্রি করতে পারেন তাহলে কম বেশি এক হাজার থেকে বারোশো টাকা আয় কোনো ব্যাপারই নয়। একেবারে নিশ্চিন্তে দিনের শেষে দেখা যাবে এক হাজার টাকা আপনার পকেটে ঢুকছেই। ফলে এবার হিসাব করুন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা মাসে ইনকাম করা কোনো ব্যাপার নয়।

সেই অর্থে কিছুই তো লাগবে না, ইনভেস্টমেন্ট বলতে একেবারেই সামান্য। আজকাল তো আর গ্লাস লাগে না, মাটির ভাড় অথবা কাগজের কাপেই চা দেওয়া হয়। তার সঙ্গে যদি পাউরুটি, বিস্কুট বা অন্যান্য খাবার রাখতে পারেন তাহলে এক্সট্রা ইনকাম করাও সম্ভব।

— পরিশেষে একটা কথা বলতেই হবে, নিজে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য ব্যবসা করছেন, রোজগার করার চেষ্টা করছেন, সে ক্ষেত্রে কোনো কথার দিকে না তাকিয়ে নিজে সুস্থভাবে সচেতন হয়ে কোন ব্যবসাটি আপনার পক্ষে সম্ভব হবে, সেটি চিন্তা ভাবনা করে নিজের এলাকায় শুরু করুন।

এক্ষেত্রে একটি বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার, অন্ততপক্ষে লোকালিটি বেশি যে সব জায়গায় রয়েছে, সেইখানেই আপনারা এই ব্যবসাটি শুরু করুন। আর এলাকায় মানুষের পছন্দ অনুযায়ী খাবার রাখার চেষ্টা করুন। সেক্ষেত্রে মানুষ আপনার দোকানের প্রতি আগ্রহ দেখাবে এবং আপনার রোজগার বাড়বে।

Read More:—

Leave a Comment

Verified Job

Verified Job — পশ্চিমবঙ্গসহ সমগ্র দেশের চাকরি ও ব্যবসা সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য এবং ভেরিফাইড তথ্য প্রদানকারী একটি শীর্ষস্থানীয় জব নিউজ পোর্টাল। এখানে শুধুমাত্র সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য খবর প্রকাশিত হয়, কোনো ভ্রান্ত বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য নয়। গত ৬ বছর ধরে আমরা ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাঠকদের নির্ভরযোগ্য সংবাদ দিয়ে আসছি।