GST 2.0:— শুরু হয়ে গিয়েছে GST সাশ্রয় উৎসব। ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে দেশবাসীকে GST দিতে হতো প্রায় সমস্ত পণ্যের উপরে। সে চিকিৎসা ব্যবস্থাতেই হোক, অথবা শিক্ষা ক্ষেত্রে, এমনকি বাড়ির দৈনন্দিন প্রয়োজনের সমস্ত জিনিসের উপরেই দীর্ঘ ৮ বছর ধরে চারটি স্তরে জি.এস.টি চাপানো হয়েছিল।
সেই চারটি স্তরে জি.এস.টি দীর্ঘ আট বছর ধরে যেভাবে দেশবাসী দিয়ে গিয়েছেন, পাশাপাশি দেশের কোষাগারে সেই জি.এস.টি স্বরূপ করের টাকাও আদায় কৃত হয়েছে। এবার সেই জি.এস.টি-র চাপে যে দেশবাসী একেবারে নাজেহাল, সেই বিষয়টি বুঝতে পেরেই কেন্দ্রের মোদি সরকার স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লায় ভাষণ থেকে এই জি এস টি লাঘব করার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
তারপর থেকেই শুরু হয়ে যায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জিএসটি কিভাবে কমানো যেতে পারে, সেই বিষয়ে আলোচনা এবং পদক্ষেপ। বহু প্রতীক্ষার পর জিএসটি কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিলো, GST-র যে চারটি স্তর ছিল অর্থাৎ ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ ১৮% এবং ২৭ শতাংশ সেই চারটি স্তর থেকে দুটি স্তর বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ৫% এবং ১৮% রাখা হবে।
ফলে এই দুটি স্তর নতুন ভাবে ঘোষণা করাতে বহু পণ্যের দাম কমতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এখনো পর্যন্ত জি.এস.টি কাউন্সিলের তরফে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে মহালয়ার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণে জানিয়েছেন, ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার ২০২৫ তারিখ থেকেই জিএসটি কমতে চলেছে। ফলে দেশবাসী অনেকটাই সুরাহা পাবেন।
GST 2.0
GST সংস্কারের ফলে দেশজুড়ে মোট ৩৭৫ টি পণ্যের দাম কমে যাচ্ছে। এইসব পণ্যের উপরে জি.এস.টি নেওয়া হবে ৫% এবং ১৮% হারে অর্থাৎ GST ২.০ অর্থাৎ সংস্কারের তাদের পর থেকেই এই দুটি স্ল্যাবে নেওয়া হবে। তবে তামাক, তামাক জাতীয় পণ্য এবং অন্যান্য বিলাসবহুল দ্রব্যের উপর ৪০% জি.এস.টি লাগু করা হয়েছে।
GST 2.0 শুরু হওয়ায় কত শতাংশ কম হলো?
পূর্বে যেসব পণ্যের উপর ১২% জিএসটি ছিল তার মধ্যে ৯৯%ই ৫ শতাংশ জি.এস.টি-র অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।
আবার যে সমস্ত পণ্যের উপর ২৮% জি এস টি লাগু ছিল, সেইগুলো ১৮% জি.এস.টি-র ঘরে চলে আসছে।
এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, পেট্রোলিয়াম দ্রব্য অর্থাৎ
পেট্রোল এবং ডিজেলের উপরে জি.এস.টি-র হার কত হলো?
যেহেতু ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকেই সরকার নয়া জি.এস.টি-র জমানা শুরু করে দিয়েছে। ফলে পেট্রোল, ডিজেলকে জি.এস.টি-র আওতার বাইরেই রাখা হয়েছে। GST হার বদলের কোনো প্রভাব কিন্তু পেট্রোল ডিজেলের উপরে পড়বে না।
এর কারণ হিসেবে যা জানা যাচ্ছে তা হল, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের আয়ের অনেকটাই আসে এই পেট্রোল এবং ডিজেলের ট্যাক্স থেকে। এর জন্য রয়েছে জ্বালানির উপরে এক্সাইজ ডিউটি এবং ভ্যাট। ফলে সরকার জ্বালানির উপরে জিএসটি বসায়নি। পেট্রোল এবং ডিজেলের জি.এস.টি-র হার নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।
জি.এস.টি সংস্কারের ফলে বহু পণ্যের দাম কমবে বলেই আশা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা করেছেন জি.এস.টি কাউন্সিল সংস্কারের ফলে ৫% এবং ১৮% জি.এস.টি থাকায় বহু পণ্যের দাম অনেকটাই নিচে নেমে আসবে। যার ফলে এই পুজোর মরশুমে স্বস্তি পাবেন মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ।
কিন্তু এখানে একটি বিষয় না বললেই নয়,২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে জি.এস.টি-র নতুন নিয়ম কার্যকর হলেও কোনো দোকানে গেলেই কোনো পন্য কেনার সময় কিন্তু নয়া জি.এস.টি অনুযায়ী কম দামে সেই পণ্য মিলছে না। এক্ষেত্রে, আরো বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হলো, কিভাবে কেন্দ্রীয় সরকার এই জি.এস.টি-র নয়া হার বাস্তবায়িত করবে, তা এখনো পরিষ্কার হয়নি।
যার ফলে ওষুধ থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের পণ্যের উপর যে ধরনের যে হারে দাম কমে যাওয়ার কথা ছিল, কোনো দোকান বা বাজার থেকেই সেই মূল্য এখনো পর্যন্ত প্রায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মিলছে না। তার অর্থ বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে কিন্তু এখনো এই নয়া জি.এস.টি হারের বিষয়টি নিয়ে দ্বন্ধ রয়ে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Read More:—

