কেন্দ্র সরকার বিনামুল্যে CSC ট্রেনিং ও সার্টিফিকেট দিচ্ছে! মাসে ৩০ হাজার আয়ের সুযোগ— CSC Business

CSC Business — বর্তমানে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে! একটা ভালো কাজের খোজ সবাই চায়। আর চাকরির বাধা-ধরা মাইনেতে সংসার চালানোর দায় হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায়, সবাই একটা ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে।

যদি আপনি এই ব্যবসাটা শুরু করেন, মাসে মাসে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন! কোন প্রকার ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই। আমরা কথা বলছি CSC কমন সার্ভিস সেন্টার Business নিয়ে।

প্রান্তিক গ্রাম এলাকা থেকে শুরু করে, শহর এলাকারও ছেলেমেয়েদেরকে কেন্দ্র সরকার ফ্রিতে ট্রেনিং করিয়ে সার্টিফিকেট দিচ্ছে। এই ট্রেনিং চলাকালীন প্রতিমাসে স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে।

বিনামূল্যে এই প্রশিক্ষণ নিয়ে, নিজের একটা ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে পার্য। যা থেকে প্রতিমাসে ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত, ইনকামের সুযোগ তৈরি হবে। তাই যদি এখনো তুমি বেকার হয়ে থাকো, তাহলে তোমার কেরিয়ার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে – এটা একটা দারুণ সুযোগ হয়ে উঠতে পারে।।

CSC বা কমন সার্ভিস সেন্টার আসলে কি?

এটা একটি সরকারি স্বীকৃত সাইবার ক্যাফে। এখানে সাধারন নাগরিক যেকোন ধরনের সুযোগ সুবিধা অনলাইনের মাধ্যমে নিতে পারো। যেমন— কলেজের ফর্ম ফিলাপ, চাকরির আবেদন, সরকারি স্কীমে আবেদন, আধার কার্ডের পরিবর্তন, কাস্ট সার্টিফিকেট, জন্ম সার্টিফিকেট আবেদন ইত্যাদি। অন্যান্য যেকোন সাইবার ক্যাফে থেকে, এই কমন সার্ভিস সেন্টার অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য। কারন সেন্টারের মালিক সরকারি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

কেন এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়?

এখনকার দিনে সরকারি প্রকল্পের সমস্ত কাজ ও পরিষেবা অনলাইনে হয়ে গেছে। অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করার সময় অনেক ধরনের ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকে, যার কারনে সঠিক সুযোগ-সুবিধা সাধারন মানুষ পায় না, বা ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢোকে না।

তাই সরকার প্রশিক্ষনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চায় নির্ভুল ফর্ম ফিলাপ ও সঠিকভাবে সাধারণ মানুষ যাতে পরিষেবা পায়! এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে—

  • বেকার ছেলেমেয়েদেরকে দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ।
  • সরকারি প্রকল্পের সঠিক বেনিফিট নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
  • প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকাতেও অনলাইন পরিষেবা পৌঁছানো।
  • CSC সেন্টার গুলিকে কাজে লাগানো।

এই প্রশিক্ষণে কি কি শেখানো হয়?

যারা এই প্রশিক্ষণে ইচ্ছুক, তাদেরকে তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত — বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট বা দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

  • সাধারণ মানুষদের সঠিকভাবে অনলাইন সুবিধা দিয়ে কিভাবে উপার্জন করা যায়?
  • বিভিন্ন স্কলারশিপের ফর্ম ফিলাপ।
  • স্কুল ও কলেজে ভর্তির আবেদন।
  • বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি চাকরির অনলাইন ফর্ম ফিলাপ।
  • বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প যেমন কৃষক বন্ধু ফসল বীমা বার্ধক্য ভাতা ইত্যাদি ফর্ম ফিলাপ।
  • আধার কার্ডের কারেকশন, যেমন- নাম, জন্ম তারিখ, বাবার নাম, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল আইডি।
  • নতুন প্যান কার্ড বানানো।
  • ইনকাম ট্যাক্স ফাইল, নতুন জিএসটি আবেদন।
  • পঞ্চায়েতের বিভিন্ন ধরনের কাজ।

এই সমস্ত কিছু এই প্রশিক্ষণে শেখানো হবে, এবং প্রশিক্ষণ শেষে অনলাইনে একটা পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই পরীক্ষায় যারা পাস করবে, তাদেরকে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একটা সার্টিফিকেট দেয়া হবে। যেই সার্টিফিকেট দিয়ে, যেকোনো জায়গায় একটা তথ্য মিত্র কেন্দ্র বা কমন সার্ভিস সেন্টার (CSC) ওপেন করতে পারো। নিজের ব্যবসা শুরু করে প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করতে পারো।

আবেদন কিভাবে করবে?

— প্রথমে, কেন্দ্র সরকারের CSC-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট csc.gov.in এই পোর্টালে যেতে হবে।

— এরপরে, ডিজিটাল সেবা রেজিস্ট্রেশন এই অপশনটা চুজ করবেন এবং নিজের মোবাইল নাম্বার, ইমেইল আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করবেন।

— রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট হয়ে গেলে একটা আবেদন ফর্ম ওপেন হবে। আবেদনকারী প্রার্থীর নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, মোবাইল নাম্বার, প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য দিয়ে সঠিকভাবে ফর্মটি পূরণ করতে হবে।

— আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। যেমন- আধার কার্ড, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, ব্যাংকের তথ্য, আপনার পাসপোর্ট সাইজ ছবি ইত্যাদি।

— সবশেষে ফর্ম সাবমিট করবেন এবং একটা অ্যাকনোলজমেন্ট নাম্বার বা কনফার্মেশন নাম্বার নোট ডাউন করে রাখবেন বা প্রিন্ট করে রাখবেন।

আবেদন কবে শুরু হবে?

এখানে তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত প্রশিক্ষণ মেয়াদ রয়েছে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রতি মাসে নির্দিষ্ট হারে স্টাইপেন্ড দেওয়া হয়। আবেদন প্রক্রিয়া ৩০শে আগস্ট ২০২৫ তারিখ থেকে শুরু হবে। আবেদন করার পর- প্রথম ব্যাচ ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে শুরু হবে।

Leave a Comment

Verified Job

Verified Job — পশ্চিমবঙ্গসহ সমগ্র দেশের চাকরি ও ব্যবসা সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য এবং ভেরিফাইড তথ্য প্রদানকারী একটি শীর্ষস্থানীয় জব নিউজ পোর্টাল। এখানে শুধুমাত্র সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য খবর প্রকাশিত হয়, কোনো ভ্রান্ত বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য নয়। গত ৬ বছর ধরে আমরা ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাঠকদের নির্ভরযোগ্য সংবাদ দিয়ে আসছি।