WBSSC SLST Admit Card — অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করার আগে নতুন নিয়ম জেনে নাও!

প্রকাশিত হলো পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (West Bengal Central School Service Commission) এর দ্বিতীয় রাজ্য স্তরের শিক্ষক নির্বাচন পরীক্ষার (2nd SLST (AT), 2025) অ্যাডমিট কার্ড — WBSSC SLST Admit Card।

বহু প্রতীক্ষার পর চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা ন্যায়বিচার পেতে চলেছেন। তাদের জন্য ইতিমধ্যেই নবম দশম এবং একাদশ দ্বাদশ উভয়স্তরের পরীক্ষা পুনরায় আয়োজিত করছে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন! গতকাল অর্থাৎ ১৪ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে কমিশনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট westbengalssc.com —এ পরীক্ষার্থীদের জন্য অ্যাডমিট কার্ড প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে।

অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা তাদের অ্যাডমিট কার্ড গুলি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সঠিক নিয়ম মেনে অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি অবশ্যই মনে রাখতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের। সেই কারণেই এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে।

অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোডের নতুন নিয়ম

গতকাল পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীদের জন্য একাধিক নির্দেশাবলী দেওয়া হয়েছে। সঠিক নির্দেশ মেনে কাজ না করলে চাকরি প্রার্থীদের আবেদন বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তাহলে চলুন, আর দেরি না করে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-

চাকরিপ্রার্থীদের ক্যাটাগরি বিবরণ আপডেট

বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী এখনো তাদের বিভাগের বিবরণ বা ক্যাটাগরি ডিটেলস আপলোড করেননি বলে জানিয়েছে কমিশন। সাধারণ বিভাগসহ সমস্ত বিভাগের পরীক্ষার্থীদের তাদের বিভাগের বিবরণ আপডেট করতে হবে বলে নির্দেশ দিল WBSSC। যারা এখনো পর্যন্ত এই কাজ করেন নি, তাদের দেওয়া হবে না অ্যাডমিট কার্ড।

অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করার জন্য অবশ্যই বিভাগের বিবরণ আপডেট করতে হবে পরীক্ষার্থীদের! একবার ক্যাটাগরি ডিটেলস আপলোড হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গেই ওই পরীক্ষার্থী তার অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে সক্ষম হবেন।

আবেদনপত্র বাতিল

কমিশন জানিয়েছে, বেশ কিছু অপ্রতিরোধ্য কারণে কিছু সংখ্যক চাকরি প্রার্থীর আবেদনপত্র বাতিল করা হয়েছে। অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে না পারলে চাকরি প্রার্থীরা অবশ্যই নিজেদের অ্যাকাউন্ট লগইন করে আবেদন বাতিলের কারণ দেখে নিতে পারবেন।

পরীক্ষার কেন্দ্রের মানতে হবে নিয়ম

পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে কঠোরভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেকটি পরীক্ষার্থীকে কমিশনের তরফে দেওয়া নির্দেশাবলী মেনে তবেই পরীক্ষা দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে কোন রকম ভুল ভ্রান্তি মেনে নেওয়া হবে না।

অ্যাডমিট কার্ডে পরীক্ষার্থীদের জন্য যাবতীয় নির্দেশাবলী উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। সকল পরীক্ষার্থীদের সেই নির্দেশগুলি ভালোভাবে পড়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। পরীক্ষার কেন্দ্রে কোন রকম সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই কমিশনের নির্দেশ মেনে চলাই উচিত।

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কোন পরীক্ষার্থীর ছবি বা সাক্ষর অ্যাডমিট কার্ডে না থাকলে সেই পরীক্ষার থেকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি না দেওয়া হতে পারে। এর পাশাপাশি পরীক্ষার্থীর আসল চেহারা বা OMR শিটে স্বাক্ষরের সাথে পরীক্ষার্থীর সাক্ষর না মিললে কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করতে পারে।

প্রত্যেকটি পরীক্ষার্থীকে OMR শিটে স্বাক্ষর করার সময় বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ডে থাকা স্বাক্ষরের সাথে অবশ্যই ওএমআর সিটের স্বাক্ষর মিলতে হবে। এক্ষেত্রে অন্য তাহলে বাতিল হবে পরীক্ষার্থীর সম্পূর্ণ আবেদন এবং নিয়োগ পদ্ধতি।

অ্যাডমিট কার্ড সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট

পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের এই পদ্ধতিতে পরবর্তী ধাপ অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষার অ্যাডমিট ইতিমধ্যেই প্রকাশিত করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি পরীক্ষার্থী কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে কোনো রকম সমস্যার সম্মুখীন হলে অবশ্যই নিজের অ্যাকাউন্ট লগইন করে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন ওই পরীক্ষার্থী।

পরীক্ষার দিন কি কি সঙ্গে রাখতে হবে?

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য ইতিমধ্যে অধিক পরিমাণে উদ্যত হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই কারণে পরীক্ষার বিষয়ে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

  • পরীক্ষার হলে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে হবে।
  • পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার দিন অবশ্যই সঠিক সময়ের মধ্যে পরীক্ষার স্থানে পৌঁছে যেতে হবে। এর জন্য আগে থেকেই যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাখতে হবে পরীক্ষার্থীকে।
  • অনলাইন অ্যাডমিট কার্ডের প্রিন্ট করা কপি অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। না হলে চাকরি প্রার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে।
  • অ্যাডমিট কার্ডের পাশাপাশি চাকরি প্রার্থীর পরিচয় পত্র হিসেবে আধার কার্ড বা প্যান কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।
  • প্রয়োজনে স্বচ্ছ জলের বোতল সঙ্গে রাখা যেতে পারে।
  • কোন ধরনের মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক গেজেট অথবা ঘড়ি নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করা যাবে না।

তবে এক্ষেত্রে মনে রাখা উচিত, আপলোড করা সমস্যা অ্যাডমিট কার্ডগুলোর সম্পূর্ণ অস্থায়ী। কমিশন কোন পরীক্ষার্থীর যোগ্যতা স্বীকার করেছে এমন কোন দাবী করা যেতে পারে না অ্যাডমিট কার্ডের মাধ্যমে। অ্যাডমিট কার্ড আসা মানেই পরীক্ষার্থীর যোগ্যতা রয়েছে এমন প্রমাণ হয় না।

লিখিত পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর পরবর্তী ধাপগুলোর মাধ্যমে পরীক্ষার থেকে তার যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে এবং বিভিন্ন পর্যায়ে ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীকে যোগ্য বলে বিবেচনা করা হবে।

আরও পড়ুন

Verified Job

Verified Job — পশ্চিমবঙ্গসহ সমগ্র দেশের চাকরি ও ব্যবসা সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য এবং ভেরিফাইড তথ্য প্রদানকারী একটি শীর্ষস্থানীয় জব নিউজ পোর্টাল। এখানে শুধুমাত্র সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য খবর প্রকাশিত হয়, কোনো ভ্রান্ত বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য নয়। গত ৬ বছর ধরে আমরা ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাঠকদের নির্ভরযোগ্য সংবাদ দিয়ে আসছি।