এবার থেকে পঞ্চায়েতের সব সার্টিফিকেট পাবেন অনলাইনে! দেখে নাও কিভাবে? —Panchayat Certificate Online

Panchayat Certificate Online — এবার থেকে পঞ্চায়েত পরিষেবা হয়ে উঠেছে আরও বেশি সহজলভ্য। বর্তমান ইন্টারনেট এবং বিশ্বায়নের যুগে পঞ্চায়েত থেকে বিভিন্ন সার্টিফিকেট ইস্যু করার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। নিজের বাড়িতে সুযোগ সুবিধার মধ্যে বসেই হাতে পেয়ে যাবেন আপনার প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট। মাধ্যম- পঞ্চায়েতের অনলাইন অ্যাপ।

এখন ঘরে বসেই আবাসিক সার্টিফিকেট এর মত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেট গুলি আবেদন জানাতে পারবেন অনলাইনেই। এর পাশাপাশি আপনার আবেদন অ্যাপ্রুভ হলেও পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে আর সংগ্রহ করার প্রয়োজন হবে না। এখনো এই বিষয়ে আপনি না জেনে থাকলে, কোন কোন নথির প্রয়োজন হবে? কিভাবে আবেদন জানাবেন? সমস্ত কিছুই জেনে নেই এই প্রতিবেদন থেকে।

এতদিন পর্যন্ত গ্রামবাসীদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেটের জন্য যেতে হতো পঞ্চায়েত অফিসে। এর ফলে অনেক সময়ই কাজের দিনগুলিতে ছুটি নিতে হত গ্রামবাসীদের। পাশাপাশি অনেক গ্রামের ক্ষেত্রেই দুটি বা তিনটি গ্রাম মিলিয়ে একটি পঞ্চায়েত থাকায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা।

সাথে পঞ্চায়েত অফিস থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য একদিন গিয়ে আবেদন জমা করতে হতো, তারপরে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সেই সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হতো। অনেক সময় এই গ্রামবাসীদের অফিসে গিয়ে ফিরে আসার খবরও পাওয়া গিয়েছে। এই কারণেই বর্তমানে অনলাইনে এই পরিষেবা চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।

কি কি পঞ্চায়েত সার্টিফিকেট পাবে অনলাইনে?

বর্তমানে অনলাইনে পঞ্চায়েতের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ধরনের সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন জানানো যায় এবং অনলাইনে সেই সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নিতে পারেন গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েত থেকে ইস্যু করা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেট গুলি হল-

  1. বাসিন্দার সার্টিফিকেট — Residential Certificate।
  2. আয় সার্টিফিকেট — Income Certificate।
  3. দূরত্ব সার্টিফিকেট — Distance Certificate।
  4. চারিত্রিক সার্টিফিকেট — Character Certificate।
  5. একই ব্যক্তি সার্টিফিকেট — Same Person Certificate।
  6. অবিবাহিত সার্টিফিকেট — Unmarried Certificate।
  7. জাতিগত শংসাপত্র — Caste Certificate ও অন্যান্য!

পঞ্চায়েত সার্টিফিকেট অনলাইনে দেওয়ার মূল কারণ

১) গ্রামবাসীদের নিজেদের বাড়ি থেকে বারে বারে পঞ্চায়েত অফিসে যেতে হবে না।

২) অনলাইনে এই ঘরে বসে আবেদন এবং সার্টিফিকেট ডাউনলোডের সুবিধা।

৩) পঞ্চায়েত অফিসের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই।

৪) বিভিন্ন সার্টিফিকেট ইস্যু করার ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রকোপ হ্রাস।

৫) পঞ্চায়েত অফিসার কার্যক্রমের পরিমাণ কমানো।

আবেদন পদ্ধতি

প্রত্যেকটি গ্রামবাসীদের তাদের নিজ নিজ পঞ্চায়েতের কাছে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন জানাতে হবে। তবে এই প্রক্রিয়া হবে সম্পূর্ণ অনলাইন মাধ্যমে। নিচে আবেদনের সমস্ত ধাপ গুলি উল্লেখ করা হলো— 

— অনলাইনে সার্টিফিকেট ইস্যু করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত অ্যাপে যেতে হবে। অফিশিয়াল ওয়েবসাইট:- https://wbpms.in/citizen/

— এরপর ওয়েবসাইটে থাকা “I would like to apply” অপশনটি বেছে নিয়ে “Proceed” অপশনে ক্লিক করতে হবে।

— তৃতীয় ধাপে অবশ্যই গ্রামবাসীকে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। এর জন্য একটি ওটিপি জেনারেট করে সেটি দিয়ে মোবাইল নম্বরটি ভেরিফাই করিয়ে নিতে হবে।

— মোবাইল নম্বর ভেরিফাই হয়ে গেলেই মোবাইল বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে একটি আবেদন পত্র প্রদর্শিত হবে। সেখানেই আবেদনকারীদের জেলা, ব্লক, ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য এবং গ্রাম পঞ্চায়েত এর বিষয়ে একাধিক তথ্য পূরণ করতে হবে।

— আবেদন পত্রটি পূরণ হয়ে গেলে সার্টিফিকেটটি আপনি কোন ভাষায় চাইছেন, সেই ভাষা বেছে নিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

— এরপর শেষ ধাপে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি অনলাইনে স্ক্যান করে আপলোড করে দিতে হবে। এবং সবশেষে ভালোভাবে আবেদন মিলিয়ে নিয়ে ফর্মটি জমা করে দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় নথিপত্র

অনলাইনে বিভিন্ন সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য পঞ্চায়েত অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ধাপের মধ্যে আবেদন পত্র পূরণ এবং প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে হয় প্রত্যেকটি গ্রামবাসীকে। এই সমস্ত প্রয়োজনীয় নথির মধ্যে রয়েছে-

আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি:এক্ষেত্রে ছবিটি অবশ্যই JPG ফরম্যাটে স্ক্যান করতে হবে এবং এর সাইজ 100 KB-এর কম হতে হবে।

পরিচয় পত্র-:আবেদনকারীদের অনলাইনে নিজেদের পরিচয় পত্র হিসেবে আধার কার্ড বা রেশন কার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এই নথির মধ্যে যেকোনো একটি নথি পিডিএফ ফাইল তৈরি করে জমা করতে হবে। ফাইলের সাইজ সর্বোচ্চ 2MB হতে পারে।

ঠিকানার প্রমাণপত্র: আপনি যে পঞ্চায়েতে বর্তমানে বাস করছেন, সেই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বৈধ ঠিকানায় প্রমাণ জমা করতে হবে। এর জন্য ভোটার কার্ড বা রেশন কার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই পরিচয় পত্র হিসেবে যে নথি ব্যবহার করেছেন এই ক্ষেত্রে অন্য একটি নথি সাপোর্টেড ডকুমেন্ট হিসেবে আপলোড করতে হবে। এক্ষেত্রেও আলাদা একটি পিডিএফ ফাইল তৈরি করে জমা করতে হবে। এই ফাইলটি সর্বোচ্চ 2MB এর হতে পারে।

আবেদনের স্ট্যাটাস চেক

একবার অনলাইনে প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন সেরে ফেললে আপনি প্রয়োজন অনুসারে এর স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। প্রথমে এটি “Pending for Operator Approval” হিসাবে আপনার কাছে প্রদর্শিত হবে।

এরপর পঞ্চায়েতের অনুমোদন পেলে আপনি সার্টিফিকেটটি অনলাইনেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে যদি আপনার আবেদন বাতিল করা হয় তাহলে আবেদন বাতিলের সম্পূর্ণ কারণ দেখতেও পারবেন।

Also Read— WBSSC SLST অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করার আগে নতুন নিয়ম জেনে নাও!

Verified Job

Verified Job — পশ্চিমবঙ্গসহ সমগ্র দেশের চাকরি ও ব্যবসা সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য এবং ভেরিফাইড তথ্য প্রদানকারী একটি শীর্ষস্থানীয় জব নিউজ পোর্টাল। এখানে শুধুমাত্র সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য খবর প্রকাশিত হয়, কোনো ভ্রান্ত বা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য নয়। গত ৬ বছর ধরে আমরা ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাঠকদের নির্ভরযোগ্য সংবাদ দিয়ে আসছি।